উইন্ডিজের তিন ক্যাচ ফেলার দিনে আশরাফুলকে টপকে ইতিহাস মুমিনুলের
বৃষ্টি না থাকলেও ভেজা মাঠের কারণে নির্ধারিত সময়ে টস করা সম্ভব হলো না। আউটফিল্ডে জমে থাকা পানি শুকিয়ে মাঠ খেলার উপযোগী করতেই গেল পাঁচ ঘণ্টা। ততক্ষণে শেষ দিনের প্রথম দুই সেশন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দিনের শেষভাগে খেলা হলো ৩০ ওভার। তাতে দিন শেষে কে বেশি খুশি, এটা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়!
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ দিনের পঞ্চম ওভারেই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে (৩) হারায়। দলের রান ১০ হতেই বিদায় নেন মুমিনুল হকও (০)। ইনিংসের সপ্তম ওভার আর ১০ রানের মধ্যেই দুই উইকেট হারালেও বাংলাদেশ দিন শেষ করেছে উইকেটের ঘর একই রেখে। দিন শেষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬৯ রান। শুরুর বিপর্যয় সামলে ফিফটি তুলে নিয়েছেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম (৫০*)। শাহাদাত হোসেন দীপু অপরাজিত ১২ রানে।
সাদমানের ফিফটির পথে উইন্ডিজ ফিল্ডারদের অবদানও কম নয়। দুবার ক্যাচ তুলে দিয়েও নতুন জীবন পেয়েছেন বাংলাদেশি ওপেনার। অন্যদিকে দীপুরও একটি ক্যাচ ছেড়েছে স্বাগতিকরা।
কিংস্টনে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই কেমার রোচের তোপে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শেষ বলে রোচের অফ স্ট্যাম্পের বাইরের ডেলিভারি জয়ের ব্যাট ছুঁয়ে আশ্রয় নেয় জশুয়া দা সিলভার হাতে। পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে মুমিনুলকে ফেরান রোচ। রানের খাতা খোলার আগেই মুমিনুল ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে।
ক্যারিয়ারে ৬৯তম টেস্ট খেলতে নামা মুমিনুলের এটি ১৭তম ডাক। লাল বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে এটি সর্বোচ্চ। টেস্টে শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ডে তিনি ছাড়িয়ে গেলেন মোহাম্মদ আশরাফুলকে। ৬১ টেস্ট খেলা আশরাফুল ডাক মেরেছেন ১৬ বার।
এরপর বাংলাদেশের হাল ধরেন সাদমান-দীপু। ব্যক্তিগত ১৫ রানে আলজারি জোসেফের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন সাদমান। কিন্তু বাংলাদেশি ওপেনারের ক্যাচটি ধরতে পারেননি আলিক আথানেজ। ৩৫ রানে থাকার সময় আবারও ক্যাচ দেন সাদমান। এবার জীবন পান উইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের সৌজন্যে। দুইবার জীবন পেয়ে সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন ২৯ বছর বয়সী বাঁহাতি এ ওপেনার। তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি।
আরেক প্রান্তে থাকা দীপুও একবার জীবন পেয়েছেন ব্যক্তিগত ৮ রানে থাকার সময়। তিন ক্যাচ ছাড়ার আক্ষেপ নিয়েই দিন শেষ করতে হয় স্বাগতিকদের।
Comments
Post a Comment